জীবন ছিল ফুলের কুঁড়ি

হামেশাই রোজ পেতো ভালোবাসা।

হলো ফুল, এলো ভ্রমর,

গুনগুনিয়ে গান শোনাতে।


আলো ছিলো বাতাসের দোলাতে,

মগ্ন কুঁড়ি, ব্যস্ত বাতাসের ঢেউ

আলোয় অস্থির মেলাতে,

জ্যোৎস্নার আলোয় পরিপূর্ণ।


যেখানে আধার ছিল না

আধারের ছাপ আসতেই মিটিমিটি,

আলো নিয়ে আসতো ছুটে

নিজের আলোয় সগৌরবে জোনাকি। 


জীবন হলো পূর্ণ ফুল

আলোয় আলোড়িত ব্যাকুল বিশ্বাসে।

সুবাস ছড়াতে ফুল

খুঁজে যাই কোন্ কুল।


বহুরূপী পিপাসায় ব্যস্ত ভ্রমর

রক্তচোষা নিমগ্নতায় কালো হাত উঁচিয়ে,

জীবন ফুল নিঃশেষে অস্থির, তীব্র যন্ত্রণায়

কালো হাত সরু ছোরা, চাপাতি, ভলি রামদা সপাটে।


কেড়ে নিল প্রাণ ফুলের

কোন এক জ্যোৎস্না রাতে।

রেখে গেল কর্ম ফুল

একাকী ছেড়ে সুন্দর পৃথিবীর মায়া।


নিস্তব্ধ চোখ চাহনির প্রতাপে

জ্বেলেছিল আলো সে,

অপরাধ কী! ফুল জানেনি

কী কাটা দিয়েছে বিঁধে!


বিশ্বাস ঘাতক কত দামে কিনেছিলো

ফুলের প্রাণ, জানেনা ফুল কী তার মানে!

নিথর ফুল আছড়ে পড়েছে ভূমে,

কী নিশ্চুপ কাল ঘুমে।


জননী তাঁর মূর্ছা যায় বারেবারে

আঁখি মেলে, জলোচ্ছ্বাসের জল

ফণা তুলে আসে, নিথর দেহে...

সাগরের বন্যার মতো।


ফুলের জননীর হৃদয় ক্ষতবিক্ষত

সহস্রকোটি ঘৃণার বাণী ছোড়ে অবিরত,

হবে কি ঘাতকের বিচার!

নিরাকার নিরালায় দু'হাত উঠায়ে।


নিরবে আড়াল হল কত শতাব্দী

হে ঘৃণ্য জাতি...!