যেকোনো দেশের জাতীয় পশু, পাখি, ফল, ফুল ইত্যাদি বাছাই করার আগে সাধারণত দুটি বিষয় খুব ভালো করে দেখা হয়। প্রথমটি হলো—যে দেশের জাতীয় ফুল, ফল ইত্যাদি নির্বাচন হচ্ছে, সে দেশে সেই জিনিসটি অনেক বেশি পরিমাণে আছে কি না। অনেক বেশি থাকার অর্থ হলো সেই জিনিসটির সঙ্গে সবাই পরিচিত।

কোনো দেশে একাধিক ফল থাকলেও এমন একটি ফলকে জাতীয় ফল হিসেবে নির্ধারণ করা হয় যেটির সঙ্গে ওই দেশের সংস্কৃতির যোগ আছে। এ ছাড়া আরও কিছু বিষয় থাকে জাতীয় ফল নির্ণয়ের ক্ষেত্রে। যেমন ফলটি স্থানীয়ভাবে সব স্থানেই পাওয়া যাবে। এসব বিষয় মাথায় রেখে একেক দেশে একেক ধরনের জাতীয় ফল নির্ধারণ করা হয়। একটি জাতির হাজার বছরের ইতিহাস-ঐতিহ্যের সঙ্গে একটি ফলের যোগসূত্র থাকলে সেই ফল ওই অঞ্চলের মানুষের জাতীয় ফল হয়ে ওঠে। অনেকের মতে, এই কাঁঠালের আদিনিবাস বাংলাদেশ ও আশপাশের অঞ্চলে।


কাঁঠালকে আমাদের দেশে চেনে না এ রকম একজনকেও পাওয়া দুষ্কর। আবার কাঁঠালগাছের প্রতিটি অংশই ব্যবহারযোগ্য। পাকা কাঁঠাল তো দারুণ সুস্বাদু। কাঁচা কাঁঠালও রান্না করে খাওয়া যায়। কাঁঠালগাছের পাতা ছাগলের সবচেয়ে পছন্দের খাদ্য। কাঁঠালগাছের কাঠও বেশ উন্নতমানের। এসব কারণে কাঁঠালের পরিচিতি সুপ্রাচীন কাল থেকে। এ জন্যই কাঁঠালকে জাতীয় ফলের মর্যাদা দেওয়া হয়েছিল। এ ক্ষেত্রে আমের কথাও আসতে পারত। কিন্তু আগে থেকেই আম ভারতের জাতীয় ফল হিসেবে থাকার কারণে এই প্রস্তাব আর আলোর মুখ দেখেনি। তবে জানো তো, আমগাছ আমাদের জাতীয় বৃক্ষ